জন্মাষ্টমী একটি পুণ্য তিথি , এদিনে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ, পাপের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিতে ধরাধামে এসেছিলেন। এই পুন্য তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের নামে উপোস থেকে পুজো দেওয়া হয়। তাহলে অনেক পুন্য অর্জন করা যায়। উপোস থেকে পুজো দেওয়ার পর অন্য প্রসাদ গ্রহণ না করে অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করতে হয়। এবং হরিনাম কীর্তন করলে অনেক পুন্য অর্জন করা যায়। এই কাজগুলো করলে যেমন ভগবান আমাদের উপর খুশি হন তেমনই এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো করলে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ আমাদের উপর অখুশি হন।
১.ভুল করেও এই দিনে কাউকে অপমান করবেন না এবং কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ করবেন না।এই দিনে কারো সাথে তর্ক বিতর্ক করলে ভগবান অপনার প্রতি রুষ্ট হতে পারেন। এবং আপনার জীবনে চরম ক্ষতি সাধন হতে পারে।
২.এই দিনে কারো জিনিস বা সম্পত্তি অসৎ উপায়ে আত্মসাৎ করতে যাবেন না বা করার চেষ্টাও করবেন না, এই দিনে কারো সাথে খারাপ কাজ করবেন না বা মন এ মনে কারো খারাপ চাইবেন না। না হলে শ্রীকৃষ্ণ আপনার উপর অত্যন্ত রেগে যাবেন।
৩.এই দিনে কোনো প্রকার খুড়ো কার্য করা যাবে না। প্রয়োজন হলে আগের দিন কার্য সম্পন্ন করে রাখবেন। যেকোনো উপোস থেকেই আপনারা কোনো খুড়ো কার্য করবেন না। যেমন ধরুন চুল কাটা, হাতের নখ কাটা ইত্তাদি।
৪.জন্মাষ্টমীর দিন সহবাস করা উচিত না। এই দিনে সারারাত শ্রী কৃষ্ণের নাম কীর্তন করে কাটানোই উত্তম।
৫. এই দিনে অবশ্যই উপোস থাকা উচিৎ , উপোস থেকে ভগবানের নাম কীর্তন করলে তিনি খুবই খুশি হন। উপশ না থাকলে অখুশি হন। আর যদি কোনো কারণে উপোস থাকতে না পারেন তাহলে অন্ন গ্রহণ না করে অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করবেন।অনুকল্প প্রসাদ হলো ফল, দুধ, সবজি ইত্যাদি। এগুলো গ্রহণ করলে ও তিনি খুশি হন.
৬.এই দিনে কোন জীব হত্যা করবেন না, জীব হত্যা মহাপাপ আর এমন একটা পুন্যতিথীতে জীব হত্যা করলে পাপের পরিমাণ বেড়ে যায়।
৭. আর একটা কথা এই দিনে বাবা মায়ের মনে কোন কষ্ট দেওয়া উচিৎ না। তাদের সাথে সবসময় ভালো ব্যাবহার করতে হবে।