শ্রীমদ্ভগবদগীতা অর্থাৎ গীতায় ৭০০ শ্লোক আছে। সাত’শ শ্লোকের গ্রন্থ বলে একে সপ্তশতীও বলে। শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত এর একটি অংশ হলেও গীতা একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ। গীতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী। বিষয়বস্তু গীতার শ্রীকৃষ্ণ ও কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক আগে অর্জুন শত্রুপক্ষে আত্মীয়,বন্ধু এবং গুরুকে দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন।
শ্রীকৃষ্ণ তখন অর্জুনকে ধর্ম স্মরণ করিয়ে দেয় ক্ষত্রিয় যোদ্ধার এবং বিভিন্ন প্রকার যোগশাস্ত্র, বৈদান্তিক দর্শন ব্যাখ্যা করে তাকে যুদ্ধে যেতে উৎসাহিত করেন।যোগশাস্ত্র ব্যাখ্যার সময় কৃষ্ণ নিজের বিশ্বরূপে অর্জুনকে দর্শন দেন এবং আশীর্বাদ করেন।
অর্জুন ছাড়া প্রত্যক্ষভাবে কৃষ্ণের মুখ থেকে গীতা শুনেছিলেন সঞ্জয় যিনি যুদ্ধের ঘটনা ধৃতরাষ্ট্রের কাছে বর্ণনা করার জন্য বেদব্যাসের কাছ থেকে দিব্য দৃষ্টি লাভ করেছিলেন, হনুমান যিনি অর্জুনের রথের চূড়ায় বসে ছিলেন এবং ঘটোৎকচের পুত্র বার্বরিক যিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সব ঘটনা দেখেছিলেন।
শ্রীমদ্ভগবদগীতার প্রতিটি অধ্যায় পাঠের ফল ভিন্ন ভিন্ন।
গীতার প্রথম অধ্যায় পাঠ করলে মানুষের মন পবিত্র হয়।
দ্বিতীয় অধ্যায় পাঠ করলে নির্মলতা লাভ করা যায়
তৃতীয় অধ্যায় পাঠ করার ফলে সর্বপাপ দূর হয়।
চতুর্থ অধ্যায় পাঠ করলে ব্রহ্মহত্যা এবং স্ত্রীহত্যাজনিত পাপ তৎক্ষণাৎ দূর হয়ে থাকে।
পঞ্চম অধ্যায় পাঠ করলে চৌর্যমহাপাপ দূর হয়।
ষষ্ঠ অধ্যায় পাঠ করার ফলে মন্দ ভাগ্য নাশ হয়।
সপ্তম অধ্যায় পাঠ করলে বুদ্ধি নির্মলতা লাভ করে।
অষ্টম অধ্যায় পাঠ করার ফলে অখাদ্য ও অপেয়জাত সকল প্রকার পাপ দূর হয়।
নবম অধ্যায় পাঠের ফলে পৃথিবী দানের মত পূণ্য লাভ হয়।
দশম অধ্যায় সর্বপাপ বিনষ্ট হয়ে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান জন্মেপাঠ করলে।
একাদশ অধ্যায় পাঠ করলে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হয়ে মুক্তি লাভ হয়।
দ্বাদশ অধ্যায় পাঠের ফলে বিশুদ্ধ ভক্তি জন্মে।
ত্রয়োদশ অধ্যায় পাঠে জ্ঞানচক্ষু বিকাশ হয়।
চতুর্দশ অধ্যায় পাঠে অশ্বমেদি যজ্ঞের মহাফল লাভ হয়।
পঞ্চদশ অধ্যায় পাঠ করলে নির্মল জ্ঞান লাভ করে যোগী হওয়া যায়।
ষোড়শ অধ্যায় পাঠে মানব সংসার বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ হয়।
সপ্তদশ অধ্যায় পাঠের ফলে রাজপেয় নামক যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠের ফলে জ্ঞানরূপ অগ্নি দ্বারা পাপ দূর হয়।