সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী অপ্সরা কে?সেরা দশজন অপ্সরা

অপ্সরা হলো হিন্দু এবং বৌদ্ধ পুরাণ অনুসারে মেঘ এবং জল থেকে উদ্ভুদ্ধ নারী আত্মা।

সংস্কৃত শব্দ অথ ( বাংলা অর্থ জল বা পানি) হতে এদের উৎপত্তি তাই এদের অপ্সরা বলা হয়। এছাড়াও মনুসংহিতায় তাদের জন্ম সম্পর্কে বলা হয়েছে যে – সাতজন মনুর সৃষ্টি তারা।

এরা নাচে-গানে পারদর্শী ছিলেন। এই কারণেই এদের ইন্দ্রের সভা গায়িকা ও নর্তকী হিসেবে দেখা যায়। অপ্সরাদের অধিপতি ছিলেন কামদেব। দেবাসুরের সমুদ্র মন্থনের সময়ে এরা সমুদ্রের ভিতর থেকে অসংখ্য নারীর সথে উঠে আসেন। কিন্তু কোন দেবদানবই তাদের গ্রহণ করতে রাজী হয় নি, তাই তারা সাধারণ নারী হিসেবেই গণ্য হতে থাকেন। ঋগ্বেদ অনুযায়ী অপ্সরা হলেন গন্ধর্বের স্ত্রী। বেদে একমাত্র উর্বশীর নামেরই উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তীকালের অন্যান্য পৌরাণিক গল্পে ইন্দ্রের সভানর্তকীদের সবাইকেই অপ্সরা বলা হয়েছে। দু’ধরনের অপ্সরা আছেন— লৌকিক এবং দৈবিক।

দেবরাজ ইন্দ্র প্রায়েই অপ্সরাদের মর্তে পাঠাতেন মুনি-ঋষিদের প্রলোভিত করে ধ্যান-ভঙ্গ করার জন্য। কারণ ধ্যান সমাপ্ত হলে তারা প্রবল পরাক্রান্ত হয়ে ওঁর ইন্দ্রত্ব দাবী করে বসতে পারেন!

অপ্সরাদের সৌন্দর্য ও কলা আবেদনের কথা সব সময়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। অপ্সরারা মায়ারূপীনী, সেইজন্য নিজেদের দেহের পরিবর্তন করতে পারতো। অথর্ববেদে আছে, এরা পাশা খেলতে খুব ভালোবাসতো এবং পাশা খেলায় খুব পারদর্শী ছিল।

একটি মত অনুযায়ী ইন্দ্রের সভায় ২৬ জন অপ্সরা রয়েছেন এবং এরা প্রত্যেকেই এক একটি শিল্পকলায় পারদর্শী।

অপ্সরাদের মধ্যে অন্যতমা হলেন উর্বশী, মেনকা, রম্ভা, তিলোত্তমা। এছাড়া ঘৃতাচী, অলম্বুষা, মিশ্রকেশী্, জানপদী, ও বিদ্যুৎপর্ণা, অদ্রিকা, পঞ্চচূড়া, সোমা, মরীচি, শুচিকা, অম্বিকা, ক্ষেমা, অসিতা, সুবাহু, সুপ্রিয়া, সুগন্ধা, সুরসা, বিশ্বাচী, পূর্বচিত্তি, প্রম্লোচা, বর্গা, প্রমথিনী, কাম্যা, শারদ্বতী, গুণবরা, ঋতুস্থলা, বুদ্বুদা, সৌরভেয়ী, ইরা, চিত্রাসেনা, সমীচী, চারুনেত্রা, পুঞ্জিকস্থলা, শুচিস্মিতা, বিশালনয়নার নামও নানা স্থানে উল্লেখিত হয়েছে।

১.উর্বশী

উর্বসী হল সুন্দরীশ্রেষ্ঠা ও অনন্তযৌবনা অপ্সরা।উর্বশী অপরূপ রূপলাবণ্যময়ী স্বর্গের অপ্সরী।উর্বশী নারায়ণের উরু ভেদ করে জন্মগ্রহণ করেন তাই তার নাম উর্বশী। আবার একথাও বলা হয় সমুদ্র হতে উর্বশীর জন্ম। এটাও প্রচলিত যে উর্বশী সাতজন মনুর সৃষ্টি

দেবরাজ ইন্দ্রের সভায় সকল অপস্বাদের মধ্যে সেরা সুন্দরী নুতৈাসিল্পী কে নিবাচিন করা হয় সেখানে  উর্বশী রম্ভার সমান সমান ছিলেন।শেষে দেবরাজ রাজা বিক্রমাদিত্যর  সহতায় তাদের দুই জনের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা নির্ধারণ করেন।

ঋগ্বেদে উর্বশী ও পুরূরবার প্রেম কাহিনী সম্পর্কে  জানা যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ কাহিনী পাওয়া যায় শতপথব্রাহ্মণে।

পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে যে, মিত্র ও বরুণও উর্বশীকে পাবার ইচ্ছে পোষণ করলে উর্বশী তাদের প্রত্যাখ্যান করেন। এই মিত্র ও বরুন উর্বশীকে অভিশাপ দেন যে- উর্বশী মনুষ্যভোগ্যা হয়ে মর্ত্যলোকে জন্ম গ্রহণ করবে। এর ফলে উর্বশী পুরুরবার স্ত্রী হিসেবে মর্ত্যলোকে জন্ম গ্রহণ করেন।

সাগরের সকল অপ্সরাদের মধ্যে উর্বশী সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী।

উর্বশী  অর্জুন কে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে অর্জুন তার সারা জীবন নংপসঙ্গ হয়ে থাকবে যে শুধু নারীদের সাথে গান ও নৃত্য করতে পারবে, পরে ইন্দ্রর অনুরোধে উর্বশী তার অভিশাপ এক বছর সময়ের জন্য সীমিত করে।

আমি তোমাকে একটা অভিশাপ দিচ্ছি আপনি আপনার পুরুষত্বকে এক বছরের জন্য ছিনিয়ে নেবেন এবং আপনি একটি এর জীবনযাপন করবেন।ai অভিশাপে  আশীর্বাদ হয় পরে।

২.রম্ভা 

কলাগাছের মতো সুপুষ্ট ও সুন্দর ঊরুবিশিষ্টা নারী।রম্ভা কুবেরের পুত্র নলকুবেরের নিকট অভিসার গমন কালে রাবণ তাকে দেখে কামমুগ্ধ হয়ে পড়েন। তাই রাবণ তাকে সতীত্ব হরণে  করেন। রম্ভা নলকুবেরকে এই ঘটনা বললে নলকুবের রাবণকে অভিশাপ দেন, রাবণ কোন নারীর অনিচ্ছায় তার প্রতি বল প্রয়োগ করে সতীত্ব হরণে করতে গেলে রাবণের মাথা সাত খন্ডে বিভক্ত হয়ে যাবে। এই জন্যই সীতা রাবণ কর্তৃক অপহৃত হয়েও নিজের সতীত্ব রক্ষা করতে পেরেছিলেন।

স্কন্ধ পুরাণে রম্ভা

একবার ইন্দ্র বিশ্বমিত্রের তপস্যা ভঙ্গ করার জন্য অপ্সরা রম্ভাকে প্রেরণ করেন। কিন্তু বিশ্বমিত্রের অভিশাপে রম্ভা শিলাতে পরিণত হয়ে ১০০০ বছর অস্থান করেন। রম্ভা যখন বিশ্বমিত্রের আশ্রমে শিলারূপে বাস করছিলেন তখন অঙ্গকার নামে একজন রাক্ষসী সেখানে নানা উপদ্রব করতে আরম্ভ করেন। তখন ঐ আশ্রমে তপস্যা রত শ্বেতমুণি বায়ব্য অস্ত্রে ঐ শিলাখণ্ড দুই ভাগে ভাগ করে রাক্ষসকে উদ্দেশ্য করে নিক্ষেপ করেন। অস্ত্রের ভয়ে ভীত হয়ে রাক্ষসী পলায়ন করে কপিতীর্থে এলে তার মাথায় সেই শিলা খন্ড পড়ে রাক্ষসের মুত্যু হয়। এই শিলাখন্ড কপিতীর্থে নিমগ্ন হলে রম্ভা আবার নিজের রূপ ফিরে পান।



ইন্দ্রের আদেশে রম্ভা জাবালি মুনির তপোভঙ্গ করেন। মুনির ঔরষে রম্ভার এক কণ্যা জন্মগ্রহণ করে। জাবালি এই কন্যার প্রতিপালন করেন; এই কন্যার নাম ফলবতী।

৩.তিলোত্তমা 

বি. সুন্দ ও উপসুন্দ নামে দুই অসুর বধের জন্য ব্রহ্মার নির্দেশে বিশ্বকর্মা তিল তিল করে সৃষ্টির যাবতীয় সৌন্দর্য আহরণপূর্বক যে অপ্সরাকে নির্মাণ

 কালিকা পুরাণে তিলোত্তমা

দৈত্যরাজ নিকুম্ভের দুই পুত্র সুন্দ ও উপসুন্দ ব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করে ত্রিলোক বিজয়ের জন্য অমরত্ব প্রার্থণা করেন। কিন্তু ব্রহ্মা এদের অমরত্বের বরদান করতে সম্মত হন নি। তবে তিনি বলেন যে, স্থাবর-জঙ্গমের কোন প্রাণী তাদের ক্ষতি করতে পারবে না। যদি এদের মৃত্যু হয় তবে পরস্পরের হাতেই হবে। এই বর পাবার পর তারা দেবতাদের উপর নিপীড়নে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তখন দেবতারা প্রাণ রক্ষা করার জন্য ব্রহ্মার নিকট প্রার্থনা করেন এদের বদ করার জন্য। ব্রহ্মা এদের বধ করার জন্য পরমা সুন্দর এক রমনীর সৃষ্টি করলেন। ত্রিভুবনের সমস্ত উত্তম জিনিস তিল তিল করে সংগ্রহ করে ব্রহ্মা এক অতুলনীয়া নারী সৃষ্টি করেন। তিল তিল সুন্দর বস্তু মিলিত হয়ে এই সুন্দরী সৃষ্টি হয়েছিল বলে এর নাম হয় তিলোত্তমা। তিলোত্তমাকে সৃষ্টির পর ব্রহ্মা সুন্দ ও উপসুন্দরের নিকট পাঠিয়ে দেন। তিলোত্তমা এদের দুই জনের সামনে নৃত্য করতে থাকে। সুন্দ ও উপসুন্দ তিলোত্তমার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে পাবার জন্য পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হন। এতে একে অন্যের হাতে নিহত হন।

৪.মেনকা


বিশ্বামিত্র কঠোর সাধনায় রপ্ত হলে দেবরাজ ইন্দ্র ভীত হলেন। বিশ্বামিত্র না আবার স্বর্গ রাজ্য কেড়ে নেন তার কাছ থেকে। তাই সাধনা ভঙ্গের জন্য পাঠালেন অপ্সরা মেনকাকে।
বিশ্বামিত্রের ধ্যান ভাঙ্গে না। মেনকাও হাল ছাড়েন না। বরফ গলল। আগুন দাউদাউ করল। কামশাস্ত্রের সকল কলা নৈপুণ্য মেনকা প্রয়োগ করলেন। বিশ্বামিত্র পুরোদমে কামনাতুর প্রেমিক হয়ে গেলেন। বিশ্বামিত্র ও মেনকার মিলনে শকুন্তলার জন্ম হল। বিশ্বামিত্র দায়িত্ব না নিয়ে চলে গেলেন সাধনা ভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে। অপ্সরা মেনকাও চলে গেলেন শকুন্তলাকে বনে ফেলে। 

কালিকা পুরাণে মেনকা

দক্ষ কন্যা সতী যখন হিমালয়ে মহাদেব অর্থাৎ শিবের সাথে হিমালয়ে বসবাস করতেন তখন মেনকা ছিলেন সতীর শখি। কিন্তু সতী যখন মারা যান তখন মেনকা কঠোর তপস্যা করতে আরম্ভ করলেন- যেন সতী তার কন্যা হয়ে আবার জন্ম গ্রহণ করেন। তার তপস্যা ভগবতী সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বর দেন- তার একশত পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান হবে। বর লাভের পর মৈনাক প্রভৃতির জন্ম হয় এবং সতী পুনরায় জন্ম গ্রহণ করেন।

মহাভারতে মেনকা

গন্ধর্বরাজ বিশ্বাবসু ও মেনকা মিলনে এক কন্য সন্তানের জন্ম হয়। মেনকা তাকে মহর্ষি স্হূলকেশ এর আশ্রমের পাশে নদীর তীরে রেখে চলে যায়। মহর্ষি সে কন্যা আশ্রমে রেখে বড় করে এবং নাম রাখে প্রমদ্বরা। এই প্রমদ্বরাই মহাভারতের বিখ্যাত রাজা রুরুর স্ত্রী।

৫.ঘৃতাচী

মহর্ষি ভৃগুর পুত্র চ্যবন মুনির স্ত্রীর নাম সুকন্যা। তাদের পুত্র প্রমতির স্ত্রী ছিল স্বর্গের অপ্সরা ঘৃতাচী। ঘৃতাচীর গর্ভে জন্ম লাভ করে মহাভারতের অন্যতম রাজা রুরু।অপ্সরা ঘৃতাচী, দু’দুজন ঋষিকে কাৎ করেছিলেন । তার মধ্যে একজন হচ্ছেন ভরদ্বাজ ঋষি। মহাভারতের আদিপর্ব অনুযায়ী ওই ঋষি গঙ্গোত্তরী প্রদেশে বাস করতেন। একদিন স্নানরতা অপ্সরা ঘৃতাচীকে দেখে তার রেতস্খলন হয়। ওই বীৰ্য তিনি কলসের মধ্যে রাখেন এবং তা থেকে কৌরবদের শিক্ষাগুরু দ্রোণের জন্ম হয়। ভাগবত ও বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী বশিষ্ঠের ঔরসে অপ্সরা ঘৃতাচীর গর্ভে কপিঞ্জলের জন্ম হয় । চ্যবন ও সুকন্যার পুত্র প্রমতির ঔরসেও ঘৃতাচীর গর্ভে রুরু নামে এক পুত্র হয় । 

৬. জানপদী

 ঋষি গৌতমের নাতি শরদ্বনি এর তপস্যা ভঙ্গ করার জন্য ইন্দ্র একটি সুন্দর অপ্সর পাঠান। শারদ্ব্বান সুন্দর জনপদে বিভ্রা ke dekhe bovrantoন্ত হয়ে পড়েন। তার বীর্য পথের ধারে আগাছায় পড়ে গিয়ে আগাছাটিকে দুটি ভাগে ভাগ করে, যার থেকে একটি ছেলে ও মেয়ে জন্মেছিল। এঁরা হলেন কৃপাচার্য ও কৃপী।

৭. আদ্রিকা 

অদ্রিকা নামে আর একজন অপ্সরার নাম আমরা মহাভারতে কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসের জন্ম বৃত্তান্তের কাহিনীর মধ্যে পাই । কুরুরাজ চেদিবংশীয় উপরিচর বসু একবার মৃগয়া করতে গিয়ে তঁর রূপবতী স্ত্রী গিরিকাকে স্মরণ করে কামাতুর হয়ে পড়েন। তাতে তাঁর রেতঃস্বলন হয় সে সময় অদ্রিকা নামে এক অপ্সরা ব্ৰহ্মশাপে মৎস্যরূপ ধারণ করে যমুনার জলে বাস করছিল । সেই অপ্সরা ওই শুক্র গ্ৰহণ করে গর্ভবতী হয়। তার ফলে তার এক পুত্র ও কন্যা হয়। কন্যা এক ধীবর কর্তৃক পালিত হয় । তার গায়ে মৎস্যের গন্ধ থাকার দরুন তার নাম মৎস্যগন্ধা হয় । তাঁর অপর নাম সত্যবতী। কুমারী অবস্থায় পরাশর মুনির ঔরসে তাঁর গর্ভে কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসের জন্ম হয় ।

৮. প্রম্লোচা

একজন অপ্সরা হচ্ছে প্রম্লোচ্চা । কণ্ডু মুনির তপস্যা ভঙ্গ করবার জন্য ইন্দ্র প্রম্লোচ্চাকে কণ্ডুমুনির কাছে পাঠিয়ে দেন। কণ্ডু প্ৰণয়াসক্ত হয়ে প্রম্লোচ্চার সঙ্গে দীর্ঘকাল বাস করেন। তাঁর ঔরসে প্রম্লোচ্চার এক কন্যা সন্তান হয়, তার নাম মারিষা । বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী মারিষার গর্ভে প্ৰজাপতি দক্ষ জন্মগ্রহণ করেন । বরুণ পুত্র পুষ্করের ঔরসে ও প্রম্লোচ্চার গর্ভে মনোরমা নামে এক কন্যা হয় । প্রম্লোচ্চার অনুরোধে প্ৰজাপতি রুচি এঁকে স্ত্রী রূপে গ্ৰহণ করেন। রুচির ঔরসে এঁর গর্ভে রৌচ্যমনুর জন্ম হয় । হেমা নামে আর একজন অপ্সরা ময়দানবকে বিবাহ করে। তাঁর গর্ভে মায়াবী ও দুন্দুভী নামে দুই পুত্ৰ ও মন্দোদরী নামে এক কন্যা জন্মগ্রহণ করে, মন্দোদরী রাবণের স্ত্রী ও মেঘনাদের মাতা ।

৯. পুঞ্জিকস্থলা

একজন অপ্সরা পঞ্জিকাস্থলা । পঞ্জিকাস্থলা পঞ্চচূড়াবিশিষ্ট অপ্সরাদের অন্যতম । ইন্দ্র একবার মার্কণ্ডেয় মুনির তপোভঙ্গের জন্য পঞ্জিকাস্থলাকে নিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু পঞ্জিকাস্থলাকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল । একবার পঞ্জিকাস্থলা যখন ব্ৰহ্মার কাছে যাচ্ছিল, তখন রাবণ তাকে বিবসনা করেছিল । ব্ৰহ্মা একথা শুনে রাবণকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে ভবিষ্যতে কোন স্ত্রীলোকের প্রতি বলপ্রয়োগ করলে তার মস্তক শতধা চুৰ্ণ হবে। এই অপ্সরাই বানররাজ কেশরীর স্ত্রী অঞ্জনা রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । পবনদেব এর গর্ভে হনুমানকে উৎপাদন করেছিলেন ।

১০. পূর্বাচিত্তী

স্বর্গের আর একজন অগ্রসর হচ্ছে পূর্বাচিত্তী । একবার জম্বুদ্বীপের রাজা প্রিয়ব্রতের জ্যেষ্ঠপুত্র অগ্নিধ্রের কোন পুত্র না হওয়ায়, তিনি পুত্ৰকামনায় মন্দার পর্বতে ব্ৰহ্মার তপস্যায় রত হন। ব্ৰহ্মা তার তপস্যায় তুষ্ট হয়ে পূর্বাচিত্তী নামে অপ্সরাকে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। পূর্বচিত্তীর রূপে মুগ্ধ হয়ে অগ্নিধ্র তাকে গান্ধৰ্বমতে বিবাহ করে । এই বিবাহের ফলে অগ্নিধ্রের ঔরসে ও পূর্বাচিত্তীর গর্ভে নয়টি পুত্রসন্তান হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *