রামায়ণ মহাকাব্য একটি। রামায়ণের রচয়িতা ঋষি বাল্মীকি।মহাকাব্যের উপর ভিত্তি করে রামায়ণ রামানন্দ সাগর “রামায়ণ” নামে একটি ভারতীয় টেলিভিশন ধারাবাহিক তৈরী করেন।এই ধারাবাহিকের স্রষ্টা, রচয়িতা ও পরিচালক ছিলেন তিনি। এই ৭৮-পর্বের প্রতি রবিবার দূরদর্শনে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’টায় সম্প্রচারিত হতো ধারাবাহিকটি ১৯৮৭ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
রাম
রামানন্দ সাগরের রামায়ণে রাম চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অরুণ গোভিল। তিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা এবং প্রযোজক।
অরুন গোবিল হিন্দি, ভোজপুরি, ওড়িয়া এবং তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু তিনি সর্বাধিক পরিচিত হয়েছিলেন রামানন্দ সাগরের জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ রামায়ণে রামের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য।
অরুন গোভিল ভারতের উত্তর প্রদেশের মেরুটে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি উত্তর প্রদেশের চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেন।ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে অরুন গোভিল ছিলেন চতুর্থ। অরুন গোভিলের বর্তমান বয়স ৬২ বছর। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে অভিনয় শুরু করেন।তিনি অভিনয় জগতে আসেন তার বড় ভাই বিজয় গোভিল এর স্ত্রী তাবাসসুমের মাধ্যম।তার স্ত্রীর নাম শ্রীলেখা গোভিল।তাদের দুইটা সন্তান আছে।
অরুন গোভিল রামের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ১৯৮৮ সালে শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা বিভাগের সেরা অভিনেতাতে আল্ট্রোন অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন।
সীতা
সীতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিপীকা চিখালিয়া।১৯৮৭ সালে রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’-এ সীতার চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন এই অভিনেত্রী। রামায়ণের পরে বেশ কয়েকটি হিন্দি ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন দীপিকা।
দিপীকা চিখালিয়া ১৯৬৫ সালের ২৯ এপ্রিল ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করে। তিনি একজন ভারতীয় অভিনেত্রী।বর্তমানে তাঁর বয়স ৫৪ বছর। তার স্বামীর নাম হেমন্ত টোপিওয়ালা। এবং তাদের দুটি কন্যা সন্তান আছে, নিধি টোপিওয়ালা এবং জুহি টোপিওয়ালা।
রামায়ণের পরে বেশ কয়েকটি হিন্দি ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন দীপিকা।
টিপু সুলতান’, ‘বিক্রম বেতাল’-এ অভিনয় করেছেন দিপীকা। বিয়ের পর অনেকদিন অভিনয় জগৎ থেকে দূরে ছিলেন দীপিকা। ২০১৯ সালে ‘বালা’ ছবিতে ইয়ামি গৌতমের মা হয়েছিলেন দিপীকা।
লক্ষ্মণ
রাম-সীতার পরই আসে লক্ষ্মণের কথা। রামানন্দ সাগরের রামায়ণে লক্ষ্মণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুনীল লহরী। তিনি ১৯৬১ সালের ৯ জানুয়ারি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন।
সুনীল লহরী ভোপাল থেকে স্কুল শেষ করার পরে মুম্বাই চলে যান, এবং সেখানে তিনি মুম্বাইয়ের উইলসন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
সুনীল লহরী প্রথমে রাধা সেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন কিন্তু দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। পরে তিনি ভারতী পাঠককে বিয়ে করেন এবং তাদের কৃষ নামক এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
রামায়ণ রামানন্দ সাগরের এ কাজ করার আগে বেশ কিছু টেলি-সিরিয়ালে কাজ করেছিলেন সুনীল লহরী।ছোট পর্দায় কাজের আগেই অবশ্য হিরো হিসেবেও কাজ করেছিলেন গুটিকয়েক ফিল্মে। বড় পর্দায় শেষ বার দেখা গিয়েছিল ২০১৭-সালে সুনীল লহরীকে।
বর্তমানে কোনো ফিল্ম নয়, স্ত্রী ভারতী পাঠকের সঙ্গে মিলে একটি প্রযোজনা সংস্থার মালিকানা রয়েছে সুনীলের। সেই প্রযোজনা সংস্থার কাজই দেখাশোনা করেন রামায়ণের সেই লক্ষ্ণণ, সুনীল লহরী।