রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনি অজানা নয় কারোরই। কৃষ্ণের বিবাহ হয় নি এবং রাধা কৃষ্ণের প্রেম অমর হওয়া সত্বেও রাধা । রাধার বিবাহ হয়েছিল আয়ান ঘোষের সঙ্গে।আজ আপনাদের জানাবো রাধার বিবাহ কেনই বা আয়ানের সঙ্গে হয়েছিল। এটি কি আয়ানের পূর্বজন্মের সাধনার ফল ছিল?
গোকুলের কাছে একটি গ্রামে বাস করতেন আয়ান ঘোষ। তার বাবার নাম ছিল গোলা, মা জটিলা এবং বোন কুটিলা। শ্রীকৃষ্ণ হলেন নারায়নের অষ্টম অবতার এবং রাধারানী ছিলেন লক্ষ্মীর রূপ। রাধা-রূপী লক্ষ্মী কৃষ্ণের সঙ্গীনি হতেই মর্ত্যে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, কিন্তু তাকে আয়ানকে বিবাহ করতে হয়েছিল।
পূর্বজন্মে আয়ান ছিলেন একজন তপসী। একবার আয়ান কঠোর তপস্যা করেন বিষ্ণুর দর্শণের জন্য। বিষ্ণুও তার তপস্যায় মুগ্ধ হন এবং তাকে দর্শণ দেন। বিষ্ণুদেবের দর্শণ পেয়ে খুবই খুশি হন আয়ান।
ভগবান বিষ্ণু আয়ানকে বর দিতে চাইলে তিনি বলেন “আমি লক্ষ্মীদেবীকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চাই”। তখন বিষ্ণুদেব বলেন তুমি অন্য যে কোনো বর চাও আমি দেবো কিন্তু এইটা বাদে। আয়ান বললেন আমি অন্য বর চাইনা।তখন বিষ্ণু অন্তর্হীত হলেন। এরপর আয়ান আরও কঠোর তপস্যা শুরু করলেন। তিনি নিজের চারপাশে আগুন জ্বেলে আরও কঠিন সাধনা করলেন। ভক্তের ডাকে ভগবান কি না এসে থাকতে পারে? আসতেই হল বিষ্ণুকে, আবারও দর্শণ দিলেন তাকে, এবং বর প্রার্থনা করতে বললেন।
সে আবারও একই বর প্রার্থনা করলেন। তখন বাধ্য হয়ে নারায়ণ তথাস্তু বললেন, এবং তাকে এও বললেন যে পরের জন্মে তিনি রাধা-রূপী লক্ষ্মীকে স্ত্রী হিসেবে পাবেন, কিন্তু সেই জন্মে আয়ান নপুংসক হবেন। রাধার মন জুড়ে কেবলই বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণই থাকবেন। রাধা আয়ানকে বিয়ে করলেও তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক ছিল না। কালী-ভক্ত আয়ান পুজো-অর্চনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। অন্য কোনও বিষয়ে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল না।
এভাবেই আয়ান রাধারাণীকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েছিলেন তবে আয়ান প্রকৃতপক্ষে একজন বৈষ্ণব ছিলেন।