বর দেবতারা অথবা মুনিঋষিরা তাদের ভক্তদের দিয়া থাকেন। ভক্তরা কঠোর তপস্যা করে বর প্রাপ্তির উদ্দেশে। মহাভারতে অনেক বরদান করা হয়। এই উলেখযোগ্য কিছু বর দান.
১. জয়দ্রথকে ভগবান শিবের বর
জয়দ্রথের এমন এক বর দিয়েছিলেন শিব যে তিনি অর্জুনকে বাদ দিয়ে সমস্ত পাণ্ডবকে যুদ্ধের একদিন ধরে রাখতে পারবেন, অর্জুন যখন যুদ্ধে অভিমন্যুর কাছাকাছি ছিলেন না তখন দ্রোণ একটি চক্রব্যূহ গঠন করেছিলেন,অভিমন্যু চক্রব্যূহপ্রবেশ করতে পারতেন কিন্তু বের হতে জানতেন না। চক্রব্যূহ ডুকলে সবাই মিলে অন্যায় ভাবে অভিমন্যুকে হত্যা করেন।এই কথা শুনে অর্জুন শপথ গ্রহণ করেন যে যে তিনিজয়দ্রথকে হত্যা করবে না হলে নিজের জীবন উৎসর্গ করবে।
২. জয়দ্রথ পিতার অভিবাদন
একদিন জয়দ্রথ তাঁর পিতা ঋষি বৃদ্ধাক্ষর এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং তার পিতার কাছে একটি বড় চান যার মধ্যে বৃদ্ধাক্ষর।অর্জুন যখন জয়দ্রথের শিরশ্ছেদ করলেন, তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। যে তাঁর মাথা তার ধ্যানরত পিতার কোলে গিয়ে পড়বে। এর ফলে পিতা পত্র একসাথে মারা যান।
৩. শান্তনু থেকে ভীষ্ম
শান্তনু তাঁর পুত্রকে বর দিয়েছিলেন যে তিনি নিজের মৃত্যুর সময় বেছে নেতে পারবেন।দেবব্রত বা ভীষ্ম সারাজীবন অবিবাহিত থাকার প্রতিজ্ঞা করার পর শান্তনু তাঁর পুত্রকে এই বর দিয়েছিলেন।
৪. দুর্বাসা কুন্তীর কাছে
কুন্তি এক বছর ঋষি দুর্বাসার সেবা করেছিলেন এবং তিনি তাঁর প্রতি খুব সন্তুষ্ট হন। তিনি তাকে একটি মন্ত্র দিয়ে ছিলেন। এটি ব্যবহার করে , তিনি যে কোনও সময় যে কোন দেবতাকে ডাকতে পারবেন। যিনি তাকে পুত্রসন্তান প্রদান করতে পারে।ঋষি দুর্বাসার বরে পান্ডবদের জন্ম হয়।
৫. ঋষি পরাশর এর সত্যবতীর কাছে বর
বেদ ব্যাসের মা সত্যবতীর দেহে মাছের মতো গন্ধ ছিল।ঋষি পরাশর একবার তাকে দেখে তার সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন।সত্যবতী বেশ কয়েকটি শর্ত রেখেছিলেন, তার মধ্যে একটি হ’ল তার শরীরের মাছের গন্ধ থেকে যেন সে মুক্তি পেতে পারে এবং গন্ধের পরিবর্তে, তার শরীর থেকে একটি সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে যা অনেক দূরে অনুভূত হতে পারে
৬. কর্ণকে পরশুরামের বর
পরশুরাম কর্ণকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যার ফলশ্রুতিতে তিনি মহাভারতে পরাজিত হন। কিন্তু পরশুরাম কর্ণকে আশীর্বাদ ও করেছিলেন যে তিনি চিরন্তন খ্যাতি অজন করবেন।
৭. শিবের অর্জুনের কাছে বর
অর্জুন যে অস্ত্র পেয়েছিলেন তাকে বলা হয় পaশুপাত অস্ত্র , শিবের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।
৮. কাঙ্ক্ষিত স্বামী (দের) জন্য দ্রৌপদীর কাছে শিবের বর
দ্রৌপদী চৌদ্দটি গুণযুক্ত স্বামী পেতে চেয়েছিল।শিবকে দেখে হাত জোর করে একই কথা পাঁচ বার বলে ফেলেছিল।কিন্তু এক জনের ভেতর এতো গুলো থাকা। তাকে আরও একটি বর দিয়েছিলেন।যে সকালে স্নান করার সাথে সাথেই তিনি কুমারীত্ব ফিরে পাবেন।এই ভাবে তিনি পঞ্চপান্ডবদের স্ত্রী হয়ে উঠতে সক্ষম।
৯.শিবের বর গান্ধারীর
গান্ধারী পবিত্র, সুন্দর ও পুণ্যবান ছিলেন এবং তিনি (ভগবান শিব) এর উপাসনা করেছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকে এমন এক বর লাভ করেছিলেন যে তাঁর একশ পুত্র সন্তান হবে। ভীষ্ম এই কথা শুনেn তিনি তত্ক্ষণাত্ গান্ধার রাজ্যে চলে যান, কারণ তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল কুরু জাতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা
১০.শিবের বর অম্বা
ভিষ্মের কারণে অম্বার বিয়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল।অম্বা ক্ষুদ্ধ হয়ে পরশুরামের তাছে ন্যায় চাইলে পরশুরাম আর ভিষ্ম ২৩ দিন ধরে যুদ্ধ হয়েছিল।কেউ কারো কাছে হারছিল না।তখন মহাদেব শিব এসে তাদের থামায় এরপর অম্বা মহাদেব শিবের পরশপণা হন এবং অম্বা আশির্বাদ পান যে পরের জন্মে অম্বা ভিষ্মের মৃত্যু কারণ হবে।অম্বা পাঞ্চাল রাজ দ্রাপদ এর সন্তান হবে।অম্বা তার পূব জন্মের কথা শরন করতে পারবেন এবং ভিষ্মের প্রতি তাঁর ক্রোধ ও মনে থাকবে এরপর অম্বা যমুনার তীরে কাঠের আগুন জ্বালান ও তার মধ্যে লাফ দেন।