একনিষ্ঠ ভক্ত রামের হনুমান যিনি হলেন একজন দেবতা । হনুমানকে দেয়া পুরাণে হয়েছে বিশেষ স্থান। রাম সীতার প্রতি হনুমানের ভক্তির কথা রামায়ণে বর্ণিত আছে। ভগবান হনুমানকে কেন সিঁদুর দেওয়া হয় ?
যখন রাবণকে বধ করার পর ফিরে এসেছিলেন অযোধ্যায় রাম হনুমান তখনও রামের সাথে অযোধ্যাতে ছিলেন ।
কপালে একবার প্রয়োগ করছিলেন দেবী সীতা সিঁদুর । পর্যবেক্ষণ হনুমান করছিলেন। তাঁর কাছে বসে খুব নিজের কৌতূহলকে নিয়ন্ত্রণ করতে না গ্রহের সাথে দেবীকে পেরে হনুমান সীতা দেবীকে জিজ্ঞাসা করলেন,তিনি কেন পরেন কপালে সিঁদুর?
দেবী হাসলেন হনুমানের জিজ্ঞাসা বাদে মুগ্ধ হয়ে।সীতা সিঁদুর বিবাহের প্রতীক তাকে বললেন । স্বামীকে রক্ষা করে এর শক্তি। এটি প্রতি নিবেদনের চিহ্ন স্বামীর।
তিনি রামের দীর্ঘায়ুর জন্যই সিথিতে সিঁদুর পড়েন।
এরপর হনুমান দীর্ঘক্ষণ ধরে ভাবতে থাকেন।
যদি তবে কেন রামের জীবনকাল প্রভুর আয়ু বাড়িয়ে তোলে সম্পর্কে কখনও ভাবেনি সে চিহ্ন এই সিঁদুরের ?
হনুমান নিজের পুরো শরীরেই সিঁদুর মেখে নেন তাই মাতা সীতার কথা শুনে। এমন অবস্থায় হনুমান তখন তাকে দেখে সবাই অবাক হয়ে যায় যখন রাজদর বারে প্রবেশ করে।
রাম হনুমানকে বললেন তুমি এমন সিঁদুর মেখেছো কেন? হনুমান তখন রামকে বললেন, “হে প্রভু” মাতা সীতা বলেছেন যে সিঁদুর ধারণে আপনার মঙ্গল হয়, আয়ু বৃদ্ধি পায়। আপনিই আমার প্রভু। আপনার মঙ্গল কল্যাণেই এই সিঁদুর মেখেছি।
রাম হনুমানের গভীর ভক্তি এবং সরলতা দেখে খুশী হলেন।তখন তার সকল ভক্তদের উদ্দেশ্যে রাম বললেন যে ব্যক্তি হনুমানকে সিঁদুর নিবেদন করবে সে তার সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে এবং সুখ পাবে।এরপর থেকেই হনুমানের গায়ে শুরু হয়েছিল রীতি সিঁদুর দেওয়ার।
হনুমান ভক্তরা মনে করেন, বীর হনুমানকে সিঁদুর প্রদান করলে তিনি সেই সিঁদুর নিজের গায়ে মাখেন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করেন।